জেনে নিন ফেসবুকের (Facebook) ইতিহাস!
ফেসবুকের (Facebook) ইতিহাস!
Mark Zuckerberg (মার্ক জুকারবার্গ) |
বর্তমান সময়ে সকল সোশ্যাল মিডিয়া ও যোগাযেগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রীয় হলো ফেসবুক (Facebook)। ফেসবুকতো আমরা সবাই ব্যাবহার করি আমরা কি জানি ফেসেবুক কোথা থেকে কিভাবে এলো এবং এর ইতিহাস কি? মানুষ স্বভাবতই কৌতুহলী মানুষ সৃষ্ঠির পর থেকেই যেকোন অজানা বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে হয়তো বা এই আগ্রহ ও পরিশ্রমের ফলে আজ পৃথিবীর এই অবস্থা। ফেসবুক ব্যাবহার করার সময় কখনো না কখনো আপনার মনেও হয়তো এই প্রশ্নটি একবার হলেও হানা দিয়েছে ফেসবুক কি? এর প্রতিষ্ঠাতা কে? ফেসবুক কত সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়? এর প্রধান কার্যালয় কোথায়? ফেসবুক এর বাৎসরিক আয় কত টাকা? কত জন কর্মী কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানটিতে? এমন আরো অজানা অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে আসে। এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
ফেসবুক এর ইতিহাসঃ
মার্ক জুকারবার্গ
আসুন ফেসবুকের ইতিহাস জানার আগে ফেসবুক এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ সম্পকে কিছু জেনে নেই। মার্ক জুকারবার্গ এর ফুল নাম হলো “মার্ক এলিওট জুকারবার্গ” (Mark Elliot Zuckerberg)। তিনি নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন এ ১৪ই মে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স ৩৫+ বছর। আপনি কি জানেন ফেসবুকের লোগোর রং সাদ ও নীল কেনা? কারন জুকারবার্গ সবুজ ও লাল এই দুটি রং দেখতে পাননা, তার চোখে সমস্যা রয়েছে তাই ফেসবুকের লোগোর রং নীল ও সাদা রং দিয়ে বানানো হয়েছে। ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করার আগে তিনি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন তখন তিনি অনেক যায়গা থেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছিলেন কিন্ত তিনি তা করেননি, বস বাদ দিয়ে তিনি চলে যান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।
ফেসবুক হলো বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট, মার্ক জুকারবার্গ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা চলাকালীন অবস্থায় তার তিন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডাস্টিন মস্কোভিত্স , এডওয়ার্ডো সেভারিন, এবং ক্রিস হিউজেস এর যৌথ প্রচেষ্টায় মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক নির্মাণ করেন। প্রথম অবস্থায় ওয়েবসাইটটির সদস্য ছিলেন শুধু মাত্র হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন, আরো অনেক পরে এটা আইভি লীগ, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ পর্যন্ত ছরিয়ে দেওয়া হয়। আরো পরে এটি সমস্ত হাই স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল ১৩ বছর বা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বর্তমানে পুরো বিশ্বে প্রায় ৩০০ (তিন শত) মিলিয়ন কার্যকরী সদস্য এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় সেমিস্টার চলাকালে ২৮ অক্টবর ২০০৩ সালে মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুকের পূর্বসূরি সাইট ফেসম্যাস তৈরি করেন। তিনি এতে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় টি হাউস এর ছাত্র-ছাত্রীদের ছবি ব্যাবহার করেন। তিনি পাশাপাশি দুইটি করে ছবি দেখান এবং হার্ভার্ড এর সকল শিক্ষারথিদের ভোট দিতে বলেন। “হট or নট”। এখানে বোঝানো হয়েছে কোন ফটোটি হট আর কোন ফটোটি হট নয়। মার্ক জুকারবার্গ এজন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাবেজ হ্যাক করেন। অন লাইনের মাধ্যমে ৪৫০ জন ভিজিটর ৪ঘণ্টায় ২২০০০ টি ছবিতে ভোট দেন। ২০০৪ সালের ১১ই জানুয়ারি মার্ক জুকারবার্গ thefacebook.com (দিফেসবুক ডট কম) ডোমেইনটি কিনে নেন। জুকারবার্গ দেখলেন এটি চালু করার ৪ ঘন্টার মধ্যে ১২০০ জন স্টুডেন্ট এতে রেজিস্ট্রেশন করেন।
তখন thefacebook.com দেখতে এমন ছিলোঃ-
এর পরে জুকারবার্গ এর সাথে (প্রোগ্রামার)ডাস্টিনমস্কোভিৎজ, (গ্রাফিক্ আর্টিস্ট) অ্যান্ডরু ম্যাককলাম, এডোয়ার্ডো স্যাভেরিন এবং ক্রিস হুগেস যোগ দেন।
এর পর ২০০০৪ সালের জুন মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার, পালো অল্টোতে (Palo Alto, California) অফিস নেন। ঐ বছর ডিসেম্বরে এর ইউজার সংখ্যা দাড়ায় ১০ লাখ।
২০০৫ সালের আগষ্ট মাসে ‘দ্যা ফেসবুক ডটকম’ নামটি পরিবর্তন করে এই কোম্পানিটির নাম রাখা হয় শুধু ‘ফেসবুক’ (facebook। এই বছর ডিসেম্বর মাসে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাড়ায় ৫৫ লাখ।
কৌশলগত কারণে ২০০৬ সালের আগষ্ট মাসে মাইক্রোসফট এর সাথে ফেসবুক সম্পর্ক স্থাপন করে। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুক সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্তকরে দেওয়া হয় এবং ডিসেম্বরে ফেসবুকে এক কোটি ২০ লাখ ব্যাবহারকারী রেজিস্ট্রেশন করেন।
এর পর দিন যতো যায় বিভিন্ন দেশে ফেসবুক ছড়িয়ে পরে এবং এর ব্যাবহারকারীর সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে। প্রথম অবস্থায় ফেসবুক েচ্যাট করা যেতো না ২০০৮ সালের এপ্রিলে ফেসবুক চ্যাট চালু হয়।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে মাসে ফেসবুকে ৫৫ কোটি ব্যাবহারকারী ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করেন।
২০১২ সালে এসে ফেসবুক ব্যাবহারকারীর সংখ্যা দাড়ায় ১ বিলিয়ন এবং ২০১২ সালে জুকারবার্গ প্রিসিলা চ্যানকে বিয়ে করেন।
আজ এ পর্যন্তই, কমেন্টে অবস্যই আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে তাও জানাবেন আশা করি উত্তর পাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।