ads

জেনেনিন স্মর্টফোনের ডিসপ্লে কি? কত প্রকার? এবং কোনটা ভালো?

জেনেনিন স্মর্টফোনের ডিসপ্লে কি? কত প্রকার? এবং কোনটা ভালো?

স্মাটফোন
আমরা সবাইতো কম-বেশি  স্মার্টফোন ব্যাবহার করি,  আমাদের হাতে যে স্মর্টফোনটি রয়েছে এতে রড় মাপের একটা ডিসপ্লেও আছে , ডিসপ্লেতো অনেক ধরনেরই  হয় কিন্তু আপনি কি জানেন আপনি যে ফোনটি ব্যাবহার করছেন এতে কোন প্রযুক্তির  ডিসপ্লে  ব্যাবহার করা হয়েছে? আমরা অনেকেই জানিনা! স্মর্টফোনের সম্পূর্ন মজা নিতে হলে ডিসপ্লে একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় যেমন ধরুন প্রায় সময়ই আমরা দেখতেপাই আমরা বন্ধুরা মিলে একসাথে বসে ভিডিও দেখি, ফটো এডিটিং করি, গেমস খেলি তখন খেয়াল করলে দেখতে পাই একেক জনের ডিসপ্লের কালার একেক রকম, কারোটা বেশি কারোটা কম আবার কারোটায় ব্রাইট বেশি কারোটা কম, কারো ফোনের ডিসপ্লে একটু ঘোলাটে দেখায়, অনেক সময় দেখা যায় কারো কারো ডিসপ্লের সাইট থেকে তাকালে ছবিগুলো ন্যাগেটিব দেখাযায় এর কারন কি? আজকে আমরা এই বিষয় গুলো নিয়েই আলোচনা করবো এবং ডিসপ্লে নিয়ে আপনাদের সকল কৌতুহল দূর করার চেষ্টা করবো, চলুন তাহলে শুরু করি।

ডিসপ্লে কি?
মূলত একটি এন্ড্রোয়েড পর্দার উপরে আমরা যা যা দেখতে পারি তাই ডিসপ্লে। এর মাধ্যমে আমরা প্রয়োজনীয় সব তথ্যাদি ছবি আকারে চোখের সামনে দেখতে পারি। যা কিনা কোনো বিষয়বস্তু নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।

ডিসপ্লে কতো প্রকার ও কি কি? বর্তমান স্মার্টফোন বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লের প্রযুক্তি দেখা যায়। প্রকারভেদে এদের দামও কম বেশি হয়ে থাকে, একেক ধরনের ডিসপ্লেতে ভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যাবহার করার ফলে দামের তারতম্য ঘটে যারফলে কিছু কিছু স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি গুলো  এতো কম দামে আমাদের স্মার্টফোন তুলে দিতে মক্ষম হয়েছে। 

  • আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে (IPS LCED DISPLAY)
  • রেটিনা ডিসপ্লে (RETINA DISPLAY)
  • এমোলেড ডিসপ্লে (AMOLED DISPLAY)
আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লেঃ (IPS LCD DISPLAY)
'আইপিএস' IPS এর পূর্নরূপ হলো ”ইন-প্লেন সুইচং” in plain sawing। 'আইপিএস' ডিসপ্লেতে টিএফটি ডিসপ্লের তুলনায় আরও উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়। ৬৪০ বাই ৯৬০ পিক্সেল (সর্বচ্চ রেজুলেশন) আইপিএস ডিসপ্লেকেই বলা হয় রেটিনা ডিসপ্লে।  এই ডিসপ্লেটি আইফোন ৪- এ এ ব্যাবহার করা হয়েছে।

সুবিধাঃ এই ডিসপ্লেতে কোন ছবি বা ভিডিও দেখতে  বেশি চার্জ লাগেনা তাই এতে ব্যাটারি খরচ কম হয়। এর আরো একটি বড় সুবিধা হলো এতো ফোনের সব কোন থেকে পরিষ্কার দেখা যায়।

অসুবিধাঃ বাজারে যেসব সাধারন এরসিডি ডিসপ্লে রয়েছে তুলনামূলক ভাবে এর দাম বেশি হওয়ায় যেসব ফোনে এই ডিসপ্লে ব্যাবহার করা হয় তার দাম একটু বেশি। 


রেটিনা ডিসপ্লেঃ (RETINA DISPLAY)
রেটিনা ডিসপ্লে বর্তমান সময়ে ডিসপ্লের একটি সর্বাধুনিক সংস্করণ, শুধুমাত্র আইফোনে এই ডিসপ্লেটি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। যা তৈরি করা হয়েছে আইপিএস এলসিডি এবং ব্যাকলিট এলইডির সমন্বয়ে। এই ডিসপ্লেটি নাম রেটিনা করার কারন হলো মানুষের সাধারন চোখদিয়ে পিক্সেল গুলোকে আলাদা করা বোঝা সম্ভব নয়।  আসলে রেটিনা ডিসপ্লে হলো আইপিএস এলসিডি এর উন্নত ভার্সন। 

এমোলেড ডিসপ্লেঃ (AMOLED DISPLAY)
অ্যাকটিভ-ম্যাট্রিকস অরগানিক লাইট-ইমিটিং ডায়োড' (Active Matrix Organic Light Emitting Diode) -এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো অ্যামোলেড (AMOLED) । এতে অর্গানিক বা জৈব পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এই ডিসপ্লের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পিক্সেলগুলো নিজ থেকেই আলো তৈরী করতে পারে যার কারনে আপনি সূর্যের আলোতেও কোন সমস্যা ছাড়াই দেখতে পারবেন। OLED স্ক্রীনের মতই এর ডিসপ্লে অনেক উজ্জল,শার্প এবং হালকা। হাই কোয়ালিটির স্মার্টফোনগুলোতে এই স্ক্রীন এখন অনেক ব্যবহার করা হয়। ওজনে হালকা, ব্যাটারির শক্তি সঞ্চয়, অসাধারন কালারসহ এই ডিসপ্লেটি আরও অনকে গুনই রয়েছে, ২০১১ সাল থেকে এর ব্যাবহার শুরু হয়। বর্তমানে এই ডিসপ্লেটি বেশ  জনপ্রিয়। অতি দ্রুত  এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারনে চরা দামের  স্মার্টফোন, ক্যামেরা, বড় পর্দার টিভি, মিডিয়া প্লেয়ারে  এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়।

স্মার্টফোন কেনার সময় অবস্যই আপনার ভালোভাবে দেখে বুঝে-শুনে আপনাদের প্রয়োজন মতো ডিসপ্লে বাছাই করে ফোন কিনবেন,  তরিঘরি করে কিছু না বুঝে ফোন কিনলে পরবর্তিতে পস্তাতে হবে।

আজ এ পর্যন্তই, পোষ্টটি সম্পর্কে আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য অবস্যই কমেন্টে জানাবেন। টেকনিক্যাল কোন বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে তাও জানাতে পারেন উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ভালো থাকবেন সবািই, আল্লাহ্ হাফেজ। 

Powered by Blogger.